কিভাবে রমজানে রোজা রেখে সময় পার করবেন

রোজা অবস্থায় সময় খুব ধীরে ধীরে কাটে বলে মনে হয়। যেন দিন শেষ হতেই চায় না। আমি আজকে হাজির হয়েছি কিভাবে আপনার রোজা টিকিয়ে রাখবেন এবং সময় কিভাবে দ্রুত পার করবেন তার কিছু টিপস নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।

poat-image

রমজান মাসে কুরআন তেলাওয়াত করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন আপনি কতটা পড়বেন তার একটি লক্ষ্য স্থির করে নিন।  

  • এক রুকূ (অনুচ্ছেদ) এক সপ্তাহের জন্য সুন্দর হবে। কুরআন তেলাওয়াত করার জন্য আপনাকে মনে মনে স্থির থাকতে হবে এবং নিজেকে বার বার স্মরণ করিয়ে দিতে হবে।
  • এ পর্যায়ে পৌঁছানোর পর, দুই রুকু করে পড়া শুরু করুন। এই চক্রের পূনরাবৃত্তি করুন এবং তিনটি রুকু এরপর চারটি করে রুকু পড়া শুরু করবেন। এভাবে একটি পাড়ার এক চতুর্থাংশ করে পড়ুন।
poat-image

অনেকগুলি সূরা মনে করে রাখা ভাল, তাই আরো সুরা মুখস্থ করুন এবং আপনি যেগুলি ইতিমধ্যেই মুখস্থ করেছেন তা মাঝে মাঝে ঝালাই করুন। 

  • আপনার প্রতিদিনের নামাজে ঐ সূরাগুলো পড়ুন, তাহলে কখনই এই সূরাগুলো আর ভুলে যাবেন না।
poat-image

৫ ওয়াক্ত নামাজের বাইরে অতিরিক্ত নামাজ আদায় করুন, এতে আপনি আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করবেন এবং পুরুষ্কৃত হবেন। ফরজ নামাজ বাদ দিয়ে অতিরিক্ত নামাজ পড়া যাবে না, আপনি নফল নামাজ বেশি করে পড়ার চেষ্টা করুন।

  • মজলিশে নামাজ পড়ার পরিবর্তে মসজিদে নামাজ পড়ুন। তারপর অন্যরা মসজিদ থেকে চলে গেলে আপনি অন্তত ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। কুরআন তেলাওয়াত করুন, অথবা অতিরিক্ত নামাজ আদায় করুন, আল্লাহ পাকের যিকির করুন বা দোয়া করুন। বেশীরভাগ মসজিদে নামাজের পর ওয়াজ দেয়া হয়, আপনি তা শোনার জন্যেও অপেক্ষা করতে পারেন।
poat-image

যদি বাইরে বেশী গরম থাকে তবে ঘরের ভেতরে অবস্থান করুন। রোজা অবস্থায় আপনার ডিহাইড্রেশনে ভোগা ঠিক হবে না তাই ঠান্ডায় থাকুন। ফ্যানের নিচে থাকুন এবং জানালা খোলা রাখুন।

  • বিকল্প হিসেবে আপনি বাইরে যেতে পারেন। যেমন ধরুন আপনার বন্ধুর বাসায়। সারাদিন ঘরে বসে সময় কাটানো অনেক বিরক্তিকর মনে হতে পারে তাই সময় কাটানোর জন্য বন্ধুর বাসায় যেতে পারেন। আপনি ইফতারির জন্য কেনাকাটা করতে যেতেও পারেন।  
poat-image

সারাদিন বিছানায় শুয়ে থাকার বা অন্যদের কাজে সহযোগিতা না করার জন্য রোজা কোন অজুহাত নয়। ঘরের টুকিটাকি কাজ যেমনঃ ঘর ঝাড়ু দেয়া, গাছে পানি দেয়া, বিছানা গুছানো ইত্যাদি করে সময় কাটান এতে সকলে আপনার সাহায্যের জন্য প্রশংসা করবে।

  • ইফতারের আগে দুই থেকে তিন ঘণ্টার জন্য রান্নাঘরে সাহায্য করুন; আপনি বিভিন্ন কাজ করা নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন এবং সময় কখন পার হয়ে যাবে আপনি বুঝতেই পারবেন না। খাবার তৈরির সমস্ত দায়বদ্ধতা একমাত্র আপনার মায়ের কাধে দেয়াও সঠিক নয়, তাই তাকে সাহায্য করুন।
poat-image

পরবর্তী দিনে যদি আপনার স্কুল না থাকে বা অন্য কোন কাজ না থাকে তবে তাহাজ্জুতের নামাজের জন্য রাত ১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং নামাজ শেষে ঘুমান। ফজরের আগ পর্যন্ত ঘুমান এবং সেহেরি খাওয়ার জন্য উঠুন। ফজরের নামাজ পড়ুন এবং ফ্রেস অনুভব করার জন্য ঘন্টা দুয়েকের ন্যাপ নিন। তারপর কাজ শুরু করুন।

  • দিনের বেলা, বিকালে কিছু সময়ের জন্য ন্যাপ নিন। আধা ঘন্টার এই সংক্ষিপ্ত বিশ্রাম নেয়াটা সুন্নাত। আপনি অনেক বেশি ফ্রেশ অনুভব করবেন আরো বেশি ক্ষুধা এবং পিপাসা সহ্য করার শক্তি পাবেন।
poat-image

এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখা দোষের কিছু না তবে এই অনুষ্ঠান দেখতে দেখতে চ্যানেল পরিবর্তন করে কোন খাবারের শো দেখা ঠিক হবে না, এতে আপনার খাবার খাওয়ার লোভ সংবরণ করা কঠিন হয়ে যাবে। নিজেকে ব্যস্ত রাখার জন্য আপনি এই ধরনের আরো কিছু কাজ করতে পারেন। 

আজকের আলোচিত টিপসগুলো সুন্দর ভাবে অনুস্মরণ করুন। ইনশাল্লাহ আপনার রোজা রাখতে মোটেও কষ্ট হবে না এবং সময়ও সুন্দরভাবে পার করতে পারবেন।

আপনি কি সাহায্য পেয়েছেন

সকল মন্তব্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন নিবন্ধন করুন