ভ্রমণ যে ভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠে

ষোলশত শতাব্দীতে অভিজাত তরুণেরা ইউরোপীয় শহরগুলির স্থাপত্য শিল্পের বিস্ময়কর স্থানগুলো পরিদর্শনের উদ্যেশ্যে ভ্রমণ করে এবং বাড়িতে ফিরে দেখানোর জন্য বিভিন্ন জিনিসপত্র সংগ্রহ করে।এই ধরনের বিশাল সফর দেওয়ার ধারণা লন্ডন, প্যারিস, আমস্টারডাম এবং রোমে ছড়িয়ে পরে এবং এখনো বিশ্বের অনেক মানুষকে ভ্রমণে উৎসাহিত করে।

poat-image

১৬৬০ থেকে ১৮২০ সাল পর্যন্ত ভ্রমণ ছিল একটি  ব্যয়বহুল এবং কঠিন ব্যাপার, এবং শুধুমাত্র বিশেষ বিশেষ মানুষ ভ্রমণ করার সুবিধা পেয়ে থাকত। সুবিধাভোগীদের বেশিরভাগই যুক্তরাজ্য, স্ক্যান্ডিনেভিয়া, এবং উত্তর আমেরিকার যুবক ছিল যাদের মধ্যে ছিল সদ্য স্নাতক পাস করা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, যারা ছিলেন  গ্রীক এবং ল্যাটিন ইতিহাস সম্পর্কে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত, এবং যারা ইতিহাসে আগ্রহী ছিল।  

এই ধরনের দূরের স্থান ভ্রমণ যুবকদের সাহসী এবং ব্যক্তিত্ব তৈরিতে সাহায্য করে, নগর ইতিহাসের গবেষক এই বিষয়টি গবেষণায় ব্যাখ্যা করেন, “এই ধরনের সহনশীলতা ছোটকাল থেকে ধারণ করা প্রয়োজন, ক্ষুধা এবং দীর্ঘ ভ্রমণ নিশ্চিত করে যে যুবকটি ঘরের আরাম-আয়েশ থেকে পৃথক, যেখানে নারী সঙ্গ  প্রবল হয়ে উঠে এবং কোন প্রকার অভিযোগ ছাড়াই তারা যাবতীয় ব্যক্তিগত সমস্যা সাহসিকতার সাথে প্রতিরোধ করে"। 

শীর্ষস্থানীয় ভ্রমণ বিরতির জায়গা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল লন্ডন এবং তারপর অবশ্যই প্যারিস। অনেকেই আমস্টারডাম পরিদর্শন করে, এবং অন্যকিছু সংখ্যক জুরিখ, বার্লিন, এথেন্স বা ইস্তানবুল পরিদর্শন করে। কারন  সেখানে রয়েছে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ, ঝর্ণা এবং গীর্জা।  

poat-image

১৮৪০ দশকে ব্যাপক পরিমাণ রেল পরিবহন ব্যাবস্থার আগমণ ঘটলে দুর্গম পর্যটন ব্যবস্থা সস্তা, সহজ এবং নিরাপদ হয়ে উঠে।

poat-image

১৯ শতক শুরুর প্রাক্কালেও কিছু জাদুঘর বিদ্যমান ছিল। গ্র্যান্ড পর্যটকরা তাদের ব্যাক্তিগত সংগ্রহের জন্য ছবি এবং ভাস্কর্যগুলো পরীক্ষা করতো, যদি ভালো লাগতো তাহলে তারা কেনার আগ্রহ দেখাতো, তারা বিশেষ করে গ্রীক-রোমান এবং ইটালিয়ান শিল্প নিজের ঘর সাজানোর জন্য কিনতে আগ্রহ দেখাতো। ভ্রমণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতাগুলো লিখে গেছেন, এবং তাদের উত্তরাধিকারীদের  জন্য ভ্রমণ সাহিত্য এবং জার্নাল গুলো রেখে গেছেন। 

আপনি কি সাহায্য পেয়েছেন

সকল মন্তব্য

মন্তব্য করতে লগইন করুন নিবন্ধন করুন